রামপুরার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ বেড়ে ৩
রাজধানীর রামপুরার বাগিচারটেক এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনে। ওই এলাকার উলন ১২নং গলির বাসিন্দা মো. ফাইজুলের ছেলে স্থানীয় পানি ব্যবসায়ী মো. রাব্বীকে (২৪) রাত ১০টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়েছে। তিনি ব্যবসায়িক কাজ সেরে রাজধানীর রামপুরার বাগিচারটেক এলাকা দিয়ে বাসায় ফিরছিলেন।
এর আগে পথচারী দুই শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে রাত সোয়া ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। গুলিবিদ্ধ শিশুরা হলো- বাগিচারটেক এলাকার ১নং গলির শামসু মিয়ার টিনসেড বাসার ভাড়াটিয়া সিএনজি অটোরিকশা চালক চাঁন মিয়ার ছেলে আবদুল মালেক (৭) ও মনির হোসেনের ছেলে স্থানীয় টেইলার্স দোকানের অ্যামব্রয়ডারি কাজের শ্রমিক মো. সোহেল (১২)।
পুলিশের ঢামেক মেডিকেল ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তারা উভয়েই বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। এর মধ্যে আবদুল মালেকের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার রামকৃষ্ণপুরে। সে তার বাবার কাছে ঢাকায় বেড়াতে আসে। তার বাম পায়ে হাঁটুর উপরে ২টা গুলির চিহ্ন রয়েছে। আর সোহেলের বাম হাঁটুর নিচে ১টি গুলির চিহ্ন রয়েছে।
আবদুল মালেককে ঢামেকে নিয়ে আসেন তার বাবা চাঁন মিয়া এবং সোহেলকে নিয়ে আসে তার বন্ধু সাব্বির।
চাঁন মিয়া জানান, আনুমানিক সোয়া ৭টা দিকে ওই এলাকায় কিসের যেনো একটা গণ্ডগোল চলছিল। সেখানে অনেক লোকজন। গোলাগুলি হচ্ছিল। খেলাধুলা শেষে রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাসায় যাওয়ার সময় আবদুল মালেক গুলিবিদ্ধ হয়।
গুলিবিদ্ধ সোহেলের বন্ধু সাব্বিরও একই কথা জানায়। তবে কে বা কারা এ গোলাগুলি করেছে তা জানাতে পারেনি।
রামপুরা থানার ওসি প্রণয় কুমার সাহা বলেন, ‘হ্যাঁ দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনা শুনেছি। তবে যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেটি আমাদের থানা এলাকার মধ্যে না। সেটি সম্ভবত রমনা থানা এলাকার আওতায়।’
অন্যদিকে রমনা থানার ওসি ফোন ধরেননি। তবে ডিউটি অফিসার এসআই ওয়াহিদ বলেন, ‘এমন ঘটনা আমরা শুনেছি। তথ্য চেয়ে অনেক জায়গা থেকেই কল আসছে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য আমরা পাইনি।’
পিডিএসও/রিহাব