কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
হাসপাতালে লাশ রেখে স্বামী পলাতক
অন্তসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
গাজীপুরের কালীগঞ্জে জাঙ্গালীয়া এলাকায় স্বামী মোবারক হোসেন ওরফে রাজনের (২৬) বিরুদ্ধে তার ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আম্বিয়াা খাতুনকে (২০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে নিহত গৃহবধূর পরিবার স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। নিহত আম্বিয়ার লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। নিহত গৃহবধূ উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের বিনিরাইল গ্রামের শামসুদ্দিনের মেয়ে। অন্যদিকে অভিযুক্ত স্বামী জাঙ্গালিয়া এলাকার আব্দুল বাতেনের ছেলে।
নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল মান্নান জানান, তিন বছর আগে প্রেম করে আম্বিয়াকে বিয়ে করেন মোবারক। তাদের একটি এক বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন আম্বিয়াাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হলে স্বামী হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। আম্বিয়া চার মাসের গর্ভবতী ছিলেন। তিনি আরো জানান, হত্যার বিষয়টি ধামাচাঁপা দিতে একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। তারা এখন হত্যাকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে। তাই এ ঘটনায় সঠিক বিচার পাওয়ার ব্যাপারে শঙ্কা প্রকাশ করছেন নিহতের পরিবার।
কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, বাপের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার আগে জুতা না কিনে দেয়াকে কেন্দ্র করে আম্বিয়ার সঙ্গে তার স্বামীর ঝগড়া হয়। পরে স্বামী বাড়ি থেকে কাজে চলে গেলে বসত ঘরে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা আটকে ঘরের আড়ার সঙ্গে আম্বিয়া ফাঁস নেয়। বাড়ির লোকজন মই দিয়ে দরজার উপরের ফাকা দিয়ে দরজা খুলে ঘরে ঢুকে আম্বিয়াকে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় হাসপাতালে নেয়। ঘটনার পর থেকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভূষন দাস জানান, সন্ধ্যায় আম্বিয়াকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার মরদেহ মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলম চাঁদ বলেন, এটা আত্মহত্যা। তবে পরিবারের লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পিটিয়ে মারার বিষয়টি উল্লেখ্য করলে তিনি বলেন, পিটিয়ে মারার কোন লক্ষণ দেখা যায়নি।
পিডিএসও/রানা