নিজস্ব প্রতিবেদক
চকবাজারে ট্রাভেলস এজেন্সির কর্মচারী হত্যা
৩ খুনির নাম বলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন জুয়েল
ঘটনাটি গত সোমবার রাতের। রাজধানীর চকবাজারের ইসলামবাগে রাত সাড়ে ১২টার দিকে জুয়েলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন ট্রাভেলস এজেন্সির কমর্চারী সুলাইমান হোসেন জুয়েল (২৩)। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে কে বা কারা ছুরিকাঘাত করেছিল তা বলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন জুয়েল।
জুয়েল যখন খুনিদের নাম বলছিলেন তখন কেউ একজন তা মোবাইলে ভিডিও করছিলেন। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের স্ট্রেচারে শুয়ে কাতরাচেছন জুয়েল। এ সময় কে ছুরিকাঘাত করেছে জানতে চাইলে তিনি বলতে থাকেন- এলাকার মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রবিন, সুমন ও রমজানই তাকে ছুরিকাঘাত করেছে। এরই মধ্যে জুয়েল তাকে পানি দেওয়ার আকুতি জানান। এক পর্যায়ে তিনি নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জুয়েলের হাত, পেট ও পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে। জুয়েলের বাবা মজিবুর রহমান পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। জুয়েল ছাড়াও ছোট ছেলে শাকিল এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে তিনি ৩৮/২১-এ পূর্ব ইসলামবাগ চকবাজার এলাকায় বসবাস করেন।
নিহতের ছোট ভাই শাকিল জানান, ‘ভাই (জুয়েল) মামার ট্রাভেলস এজেন্সির বিজয়নগর অফিসে চাকরি করত। সোমবার ঘটনার আগে একটি নম্বর থেকে কল আসে। এরপর সে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। অনেকক্ষণ না ফেরায় খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারি কে বা কারা তাকে ছুরিকাঘাত করে গলিতে ফেলে গেছে। এরপর দ্রুত উদ্ধার করে জুয়েলকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে ভাই খুনি হিসেবে রবিন, সুমন ও রমজানের নাম বলে যায়।’
চকবাজার থানার ওসি কামরুল আহসান তালুকদার জানান, জুয়েল খুনের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। তবে হত্যায় জড়িত বলে যাদের নাম এসেছে, তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। কি কারণে জুয়েলকে হত্যা করা হলো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পিডিএসও/তাজ