মাদক ও জঙ্গি নির্মূল করা সম্ভব হয়নি : আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক জানিয়েছেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ও জঙ্গি দমনে সারাবিশ্বে রোল মডেল হওয়া সত্ত্বেও নিজের দায়িত্বকালীন ৫ বছরে দেশের মাদক ও জঙ্গি নির্মূল কর সম্ভব হয়নি। আজ শনিবার দুপুরে 'পুলিশ সপ্তাহ- ২০১৮' উপলক্ষে পুলিশ সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, মাদক নির্মূল করতে পারিনি, জঙ্গিও নির্মূল করতে পারিনি। কারণ দুটোই আসক্তি। এছাড়া অন্য ট্রাডিশনাল ক্রাইমও অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় কমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ১ লাখ ৮১ হাজার ১৬৮টি মামলা দায়ের হয়েছে, ২০১৭ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৫২৯ টিতে। অস্ত্র, মাদকসহ বিভিন্ন উদ্ধারের হার বেড়ে যাওয়ায় মামলা বেড়েছে। পুলিশের সক্ষমতা ও কার্যক্রম বৃদ্ধির কারণে উদ্ধার বেড়েছে। উদ্ধার বাদ দিলে ট্রাডিশনাল ক্রাইমও তুলনামূলক কমেছে।
মাদকে বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা ইয়াবা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, কক্সবাজার এলাকায় এতো বড় সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা প্রবেশ করে যা বন্ধ করা কঠিন। তারপরেও ইয়াবা প্রবেশ ঠেকাতে যথেষ্ট সফলতা রয়েছে। গত এক বছরে মাদক সংক্রান্ত ২ লাখ ৮৭ হাজার ২৫৪টি মামলা হয়েছে। গ্রেফতার আছে কয়েক হাজার। শুধু আইন প্রয়োগ করে পুলিশ দিয়ে মাদক ঠেকানো সম্ভব নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের সব স্তরে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্সের কথা জানিয়ে শহীদুল হক বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্নমুখী কৌশল নিয়ে সামনে এগোচ্ছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের কোনো সদস্য যেন মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে নজরদারি রয়েছে। কেউ জড়িত হলে সাধারণ মানুষের মতোই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। নির্দিষ্ট কত সংখ্যক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেই পরিসংখ্যানটা এই মুহূর্তে নেই, তবে সংখ্যাটা খুবই কম।
গত এক বছরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান হামলা পরবর্তী সময়ে নতুন করে জঙ্গিবাদের যে উত্থান হয়েছিল, এরপর আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতেও সক্ষম হয়েছি। জঙ্গি দমনে পুলিশের অর্জন শুধু দেশেই নয় বিদেশেও প্রশংসিত হয়েছে।পিডিএসও/মুস্তাফিজ