মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ

  ২০ অক্টোবর, ২০১৭

গালিবের খোঁজে

সূর্যটা হেসে উঠেছে কেবল। পায়ে পায়ে চলার দৃশ্য নজরে পড়ছে পথের দুই সারিতে। আমি দাঁড়িয়ে আছি দিল্লির আইটিও বাসস্টেশনে। ৪০৫ নম্বরে চড়ে যাব হজরত নিজামুদ্দিনে। দেখব এক উর্দু কবির ওপর নির্মিত গবেষণাগার। দুদিন হলো আবারও বেড়াতে এসেছি নগরসম্রাট দিল্লিতে। ঘুরেছি ঐতিহাসিক বেশ কয়েকটি জায়গা। হারিয়েছি বেশ নন্দন মুগ্ধতায়। লাল কেল্লা, পুরনো কেল্লা, শেরশাহর সমাধি, ইন্ডিয়া গেট, দিল্লি গেট, কুতুব মিনার, রাজঘাট, চিড়িয়াঘরে ঝালিয়েছি মেধা-মনন? ‘দিল্লি বড়ি আজিব শেহের হ্যায়।’ মর্ম বুঝেছি কথাটির। ছেলেবেলায় জেনেছি গালিবকে। মির্জা আসাদুল্লাহ খান গালিবের কথা বলছি। ‘মুহাব্বত কি শায়েরি’ পড়েছি হপ্তাখানেক হলো। ‘দেওয়ান-ই গালিব’ আওড়াচ্ছি আজকাল। তার উর্দুকাব্যের গতিময়তায় উপলব্ধ হয় এক ভিন্ন জীবন। পাতায় পাতায় দারুণভাবে মোহিত করে তার প্রতি। সহসাই প্রেমযমুনায় হাবুডুবু খাই যে বার কত! তার কোনো ইয়ত্তা নেই। কবি আজ বেঁচে নেই। বেঁচে আছে তার পদাবলি। উর্দু সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ চূড়ো দখল করে রয়েছে যেসব হালে।

‘ইশক পর জোর নেহি হ্যায়/ইয়ে ও আতিশ গালিব/কে লাগায়ে না লাগে/বোঝায়ে না বানে।’

আহ, কত স্বচ্ছবাণী তার প্রেমদুনিয়া ঘিরে। কত অকপটে বলে গেছেন—‘প্রেমের ওপর জোর চলে না, এমনই গালিব সে। জ্বালালেও জ্বলে না, নেভালেও নেভে না।

স্টেশনে বাস এসে পড়ল ততক্ষণে। টিকিট নিয়ে বসলাম সিটে। কাঁচ গলে গলে নজর পড়ছিল বাইরেই কেবল। দিল্লির পথঘাট, উড়াল সেতু, মেট্রোরেল-দেখার মতো বেশ। মনের আয়নায় গাঁথতে লাগলাম চোখে দেখে দেখে। ১০ মিনিটের মাথায় বাস এসে দাঁড়াল হজরত নিজামুদ্দিন স্টেশনে। যথারীতি নামলাম বাস থেকে।

‘শায়ের গালিব কা ঘর কাহা পর হে?’ জিজ্ঞেস করলাম এক ভদ্রলোককে। মহাসড়ক পেরিয়ে একটি সরুপথ হাতের ইশারায় দেখিয়ে দিলেন তিনি। মিনিট দুয়েক হাঁটলাম। আশপাশে রয়েছে হোটেল, বিলাসবহুল আবাসিক ভবন। পথের দু-পাশে সারিবদ্ধ ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের বহর। ফুল-ফল, কাপড়, পারফিউম, জল নিয়ে রাস্তা জড়ো করে রেখেছে তারা।

‘ভাইয়া, সুনিয়ে!’ হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়ে এক দোকানিকে বললাম।

‘হাঁ জি, বোলিয়ে।’

‘শায়ের গালিব কা ঘর কেধার হ্যায়?’

‘উন কা ঘর তো হ্যায় চাঁদনীচক পে। লেকিন একাডেমি হ্যায় এহি পে হি।’

গালিবের ঘর এখানে নেই, শুনতেই তথমত খেলাম। বন্ধুরা বলেছে এখানেই। কিন্তু লোকটি বলছে ভিন্ন কথা। আমার অবাক হওয়ার বিষয়টি বোধহয় বুঝতে পারল সে। মুচকি হেসে তাই জিজ্ঞেস করল—‘নয়া হ্যায় কিয়া?’

মাথা নাড়ালাম।

‘লেকিন ইন্ডিয়া মে নেহি।’ হিম্মত করে জানালাম কথাটি। ‘নয়া’ বলে হয়রানি করবার পথ বন্ধ করে দিলাম একেবারেই। লোকটি এবার হেসে উঠল খিলখিলিয়ে। বলল, ‘কৈ বাত নেহি। ম্যায় তো মজাক কার রাহা থা জি!’ ইশারায় দেখিয়ে দিল সামনের বিল্ডিংটা। প্রথমে আগাগোড়া দেখে নিলাম ইমারতটি। লাল বেলে পাথরে রং চড়ানো ভবনটির গায়ে। লম্বালম্বী দাঁড়িয়ে আছে গাছের মতো। আলিশান কোঠাবাড়ির মতো তিনতলা বিল্ডিংটি। চারপাশে টাঙানো উর্দুতে লেখা বেশ কয়েকটি ফেস্টুন। প্রধান গেট বরাবর রয়েছে একটি রঙিন ব্যানার। ‘মুশায়ারা মাহফিল ২০১৬’ লেখা রয়েছে তাতে বড় বড় হরফে।

এগোলাম গেটের দিকটায়। বাঁপাশে দেখলাম টুপি-দাড়িসমেত কবি গালিবের ছবি টাঙানো। ডানপাশে রয়েছে একাডেমির সাদাকালো মনোগ্রাম। বেশ নীরবচ্ছিন্ন এলাকা এটি। কাউকে দেখা গেল না গেটে। প্রবেশ-অনুমতির প্রয়োজন আছে কি না, জানা নেই। তবু অপেক্ষা করলাম ইজাজত মেলার। এর ভেতরই হুট করে বেরোলো এক ভদ্রলোক। মাথায় ক্রিকেটারদের মতো ক্যাপ। পরনে তার লাল পাঞ্জাবি। পায়ে চটির মতো জুতো। কাঁধে রয়েছে চামড়ার ব্যাগ ঝোলানো। বুঝে নিলাম, লোকটি কোনো কবি-টবি হবেন। তার কাছেই ভেতরে ঢুকবার বিষয়ে জানা যাবে। সালাম দিলাম। বললাম, ‘আঙ্কেল! আন্দার জা সাকতা হুঁ কিয়া?’ বেরোতে বেরোতে গোঁফে-দাড়িভর্তি ভরাট চেহারার লোকটি আমার পিঠে হাত রাখলেন। মুচকি হেসে বললেন, ‘ইজাজত কি কিয়া জরুরত হ্যায়? জরুর, যাও।’ শুকরিয়া জানালাম তাকে।


মির্জা আসাদুল্লাহ খান গালিবের কথা বলছি। ‘মুহাব্বত কি শায়েরি’ পড়েছি হপ্তাখানেক হলো।

‘দেওয়ান-ই গালিব’ আওড়াচ্ছি আজকাল। তার উর্দুকাব্যের গতিময়তায় উপলব্ধ হয় এক ভিন্ন জীবন।

পাতায় পাতায় দারুণভাবে মোহিত করে তার প্রতি


এবার সানন্দে পা রাখলাম একাডেমির ভেতরে। শুরুতেই দেখলাম প্রচ্ছদে ঠাসা চত্বর। কবি গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি ফয়েজ আহমদ ফয়েজের সব বইয়ের প্রচ্ছদে ঘেরা এক অন্যরকম দুনিয়া। হাতালাম দু-চারটে। উর্দু ক্যালিগ্রাফিতে গড়ালাম মিনিট বিশেক। ততক্ষণে পেছনে কারোর হাঁটার শব্দ ভাসল কানে। ঘুরে দাঁড়ালাম ঘাড় বাঁকিয়ে। সালাম দিলাম। জবাব দিলেন বুড়ো মতোন লোকটা। হয়তো তিনিও একজন কবি, প্রথম দেখাতেই মনে হলো এমনটাই। আমায় এড়িয়ে দরোজা ঠেলে ভেতরে ঢুকছেন তিনি। পিছু নিলাম তার।

ভেতরে যেতেই চোখ আমার ছানাবড়া। একি! এ তো দেখছি কবি আর কবি। কবিদের বিশাল মিলনমেলা। বাইরের ফেস্টুন, ব্যানারের মর্মটা এবার বুঝে এলো। প্রেয়সীদের উপলক্ষ করে কবিতা আবৃত্তি করছেন একের পর এক কবি। শুনতে শুনতে বসে পড়লাম গ্যালারির একটি সিটে। গ্যালারিটি সুবিশাল। জমকালো বেশ, দৃষ্টিনন্দনও বটে। তবে শ্রোতার উপস্থিতি নেই তেমন। অর্ধটা ভরে আছে তরুণ, যুবাবৃদ্ধ কবির আগমনে। সামনের ব্যানারটা জ্বলজ্বল করছে লাল-নীল ঝাড়বাতিতে। মঞ্চটা আলোময় হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে। লম্বা কেশে ঘেরা চশমাপরুয়া কজন রয়েছেন মূল আসনে। উপস্থাপক হাত নাড়িয়ে ছন্দে ছন্দে আহ্বান করছেন কবিদের। একে একে বেশ কজন কবি দাঁড়ালেন কবিতামঞ্চে। শোনালেন উর্দু-হিন্দি কবিতা। দু-একজন পরেই মূল মঞ্চের একজন দাঁড়ান হঠাৎই। পাঠ করেন গালিব, ইকবাল চরণ। আমি মুগ্ধতায় হারাই। শুদ্ধতায় বনে যাই ইকবাল, গালিবের সহচর-সহোদর।

ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে অনুষ্ঠানটির রৌনক, রৌশন। ‘ওয়াহ ওয়া!’ বলে চিৎকার করে ওঠে সামনের শ্রোতারা। ‘কিয়া বাত হে!’ আওড়িয়ে ওঠে হঠাৎ হঠাৎ। আমারও মেলাতে ইচ্ছে হয় তাদের সুরে সুর। দাপিয়ে বেড়াতে মন চায় কবি গালিব, রুমি, ইকবালের ছন্দকাব্যের শহর-বন্দরে। কিন্তু আমার সিটটা পেছনে সবার। অনেকটা ওপর তলার মতো। সামনের লোকজনকে দেখা যায় না তেমন। ঠাওর করা যায় না তাদের অঙ্গভঙ্গিমা। কানে শোনা কেবল যতটুকুন। ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো লাফিয়ে ওঠা শুধু। তবু চেষ্টা চালালাম দেখতে।

দাঁড়িয়ে পড়লাম একপর্যায়ে। বেশ ছোটখাটো মনে হলো সামনের সারিটাকে। সবার চেহারা অনুমান করা গেল না এক পলকে। একেবারে ওপরের দিকে নজর আটকালো তখন। দেখলাম পিতলের শিকে ঘেরা সামনের সারিটা। ওপর বরাবর যথেষ্ট ফাঁকা। মাথায় বুদ্ধির ঢেউ খেলল ফট করে—দোতলায় যাওয়া যেতে পারে তবে। যেই ভাবা সেই কাজ। বেরিয়ে পড়লাম বাইরে। হাতের ডানে দেখলাম কার্যালয়ের মতো আরেকটি কক্ষ। দুজন লোককে দেখলাম কবিতা রিহার্সেলে মগ্ন। বিরক্ত করলাম না তাদের। সিঁড়ি ভেঙে সোজা ওপরে চড়তে লাগলাম একাই। মাঝ বরাবর দেখা এক কবির। সালাম দিলেন তিনি আমায়। হাল-ফুরসৎ জানতে চাইলেন কথায় কথায়। কোথা থেকে এসেছি, জিজ্ঞেস করলেন প্রথম পরিচয়েই। সিঁড়ির রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই মিনিট দুই কথা বললাম তার সঙ্গে। বেশ খুশি হলেন তিনি। উর্দুকাব্যের প্রতি অনুরাগী দেখে হাদিয়া দিলেন একটি বই। প্রচ্ছদে আঁকা আল্লামা ইকবালের ছবি তাতে। আর উর্দু হরফে লেখা ‘শিকওয়া : শিকওয়া-ই জালওয়া।’ লোকটাকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষমেশ পা রাখলাম দ্বিতীয়তলায়।

এই তলার সামনের দুটো সারিতে রয়েছে হাতেগোনা কয়েকজন দর্শক। আরেকজন যোগ হলাম আমি। এক এক করে ডিঙিয়ে বসলাম সবার সামনের সিটটাতে। দেখলাম নিচতলার সামনের আসল রহস্যটি। গালিবের ফেস্টুন জড়ানো চেয়ারে বসা তারা। রঙিলা লাইটিংয়ের ক্রমাগত আলোর ফোয়ারায় জ্বলজ্বল করছে চেয়ারসহ কবিদের আপাদমস্তক। বেশ ভালো লাগছে দেখতে।

কবিতা শোনাতে শোনাতে ক্লান্ত হয়ে পড়ল একসময় কবিগণ। ঘোষণা হলো বিরতির। আমি বেরিয়ে পড়লাম বাইরে। এ তলায় দ্বিতীয় আর কোনো কক্ষ নজরে এলো না। দু-পাশে টয়লেট, বাথরুমের লাইন দেখা গেল কেবল। ভিড় ঠেলে চড়তে লাগলাম তৃতীয়তলায়। সিঁড়ির সাদাটে কাচের ফাঁক গলে পড়ছে সূর্যের রশ্মি। মুখটা হয়ে উঠল বেশ রোদেলা। ততক্ষণে হাজির হলাম তৃতীয়তলায়। একেবারেই নীরব পরিবেশ এই ফ্লোরটির। রিসিপশনে বসে আছেন তিরিশের মতোন বয়সী এক নারী কবি। কম্পিউটারে কম্পোজ করছেন উর্দু কবিতা। সালাম দিলাম তাকে। হাতের ইশারায় ডানদিকে যেতে বললেন তিনি।

বইয়ে ঠাসা এই ফ্লোরটির চারপাশ। বিশাল লাইব্রেরি দেখলাম বাঁপাশে। ডানপাশে দেখলাম সারিবদ্ধ টেবিল, চেয়ার। উর্দু, হিন্দি, ইংরেজি ভাষার সব ধরনের ম্যাগাজিন-দৈনিক পত্রিকা রাখা আছে তাতে। কজনকে দেখলাম বসে বসে পড়ছেন উর্দু, হিন্দি দৈনিক। আমি হাতে নিলাম হিন্দি দৈনিক ‘হিন্দুস্তান’। ভারতের জাতীয় পত্রিকা এটি। সবচে তরতাজা খবর থাকে পাতায় পাতায় এর। ফিচারপাতাগুলোও বেশ হিটের। চোখের তারায় ‘মনোরঞ্জন’ পাতাটি মেলে ধরলাম যখন, ঠিক তখনই দেখলাম একাডেমির ইউনিফর্ম পরুয়া এক তরুণকে। একটু এগিয়ে তার কাছে জানতে চাইলাম ‘মুহাব্বত কি শায়েরি’র কথা।

‘ম্যাম কো পুছিয়ে।’ সাদা গলায় জানাল সে। তিরিশের মতো বয়সী রিসিপশনের সেই ম্যাডামের কাছে গেলাম আবার। কম্পোজে বেশ ব্যস্ত দেখা গেল তাকে। তবু সময় দিলেন আমায়। চশমার ফাঁক গলে তাকালেন। খানিকটা বিরতি নিয়ে এবার চোখ কপালে তুলে বললেন, ‘ইস নাম সে তো কৈ কিতাব হি নেহি গালিব কি!’ অবাক হলাম খুব তার কথায়। তবে কি আমি ভুয়া কারোর কবিতা পড়েছি? আর প্রেমে পড়েছি মির্জা গালিবের? তবু মিনিট দুয়েক একাডেমির সব বইয়ের তালিকায় ঘাঁটলেন নামটি তিনি। পেলেন না শেষমেশ। বললেন, ‘ওধার জাও। লাইব্রেরি মে ঢুন্ডো।’ ম্যামের কথামতো এগোলাম বাঁপাশে। আলমারির তাকে তাকে হাজারো কবিতার বই দেখলাম সাজানো। কোনোটা কবি গালিবের নিজের লেখা, কোনোটা তার কবিতার ওপর লেখা সমালোচনাগ্রন্থ; আর কোনোটা বা কবি ইকবাল ও অন্যান্য উর্দু সাহিত্যের কবিদের কবিতাসমগ্রের সংকলন। সারিতে সারিতে প্রতিটির নিচে রয়েছে সংকেত-ইশারা। আমি ঢুকলাম কবি গালিবের রচনালয়ে। ঘাঁটলাম মিনিট দশেক। মিলল না তবু তার প্রেমময় সেই কাব্য সংকলনটি। অগত্যা কৌতূহলী হলাম ইকবাল দরোজায়। গুটি গুটি পায়ে এগোলাম ওদিকটায়। দেখলাম ইকবালের শত শত উর্দু কবিতার বিপ্লবী কারনামা।

তৃতীয়তলা থেকে এবার বেরোবার পালা। ম্যাডামকে বললাম, ‘ও কিতাব মিলি নেহি।’ বললেন, ‘ঠিক হে, আগার মিল জায়ে তো ফৌরান হি ইনফর্ম কারোঙ্গি। ইস পার্চি মে আপনা নাম, নাম্বার, আওর পাতা লিখ দো।’ খাতায় নামটি লিখতে যাব, ঠিক তখন প্রশ্ন করে বসলেন আরেকটি, ‘উস কিতাব কা কিয়া নাম বাতায়া থা তুম নে?’

‘মুহাব্বত কি শায়েরি।’

মুচকি হাসলেন তিনি। জানালেন, ‘ও তো ফিলহাল নেহি। কুচ্ছ দিন পেহলে খতম হো চুকি হে। দারাসাল ও গালিব কি কৈ মুস্তাকিল কিতাব হি নেহি, বাল্কে উনকে প্রেম কবিতা কা মজমুয়া হ্যায়।’ স্বস্তির হাসি হাসলাম খানিকটা। এতক্ষণে মিলল তবে। অর্ডার রেখে চললাম বাইরে। বইটির বাংলা-হিন্দি ভার্সন পড়েছি কেবল। কিন্তু উর্দুটা নজরে পড়েনি এখনো। এত পাগলপারা তাই এর জন্য। এরপর সজোরে পা ফেলে নিজেকে আবিষ্কার করলাম নিচতলায়। লোকের ভিড়ভাট্টা ঠেলে বেরোলাম বাইরে। হাঁটতে লাগলাম মেট্রোস্টেশনের দিকে। কিন্তু কে যেন কী এক মোহে আমায় জড়াচ্ছে বারবার। পেছন ফিরে তাকাই বার কয়েক একাডেমিটার দিকে। উর্দু অক্ষরে লেখা ‘গালিব একাডেমি’ যেন হাতছানি দিল ক্রমেই। তবু জানালাম ‘আলবিদা।’ পাশের দরোজায় হিন্দিতে লেখা নামটি যেন ডেকে ডেকে বলল কেবলই—‘কভি আলবিদা না কেহনা।’

[email protected]

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মির্জা আসাদুল্লাহ খান গালিব,মির্জা গালিব,সাহিত্য
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist