সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

  ০২ জুন, ২০১৭

নজরুল ইসলামের গদ্য রচনা

নজরুল ইসলামের গদ্য রচনা পড়ার সময় একটা বিষয় কিছুতেই দৃষ্টি এড়ায় না। সেটা তাঁর অভিমান। এই শব্দটি নানা উপলক্ষে-কখনোবা উপলক্ষ সৃষ্টি করে আমাদের চোখের সামনে এসে দাঁড়ায়। কিন্তু শব্দটি যেখানে নেই সেখানেও দেখি মান-অভিমান ঠিকই চলছে—কখনো প্রকাশ্যে, কখনোবা অন্তর্লগ্ন রূপে, কিন্তু সব সময়ই আনন্দিত চাঞ্চল্যে। নজরুল তাঁর গদ্য রচনায় খুব স্পষ্ট করেই অভিমানী। এই অভিমান প্রথম দিককার রচনায় তুলনাগতভাবে অধিক, কিন্তু কোনো অবস্থাতেই একেবারে অনুপস্থিত নয়।

তাঁর অভিমানের উৎস দুটি। প্রথমত, এই বোধ যে, তিনি একজন শিল্পী এবং সেই কারণে তিনি অনন্য সাধারণ। নিজেকে তিনি বলেছেন সত্যের তূর্যবাদক, ভগবানের হাতের বীণা। এই উক্তি চকিতে মুহূর্তের অনুপ্রাণিত ভাষণ নয়। এ সেই প্রত্যয় যার গুণে ইতিহাস সৃজনকারী পুরুষেরা ঐতিহাসিক ক্ষমতায় প্রলুব্ধ হয়ে উঠতে পেরেছেন। এই প্রত্যয়ের আলোকে আলোকিত যে ভুবন সেখানে তিনি বীর; নিজেই নায়ক-নিজের কাছে। এক অভিভাষণে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, যাঁরা আমার নামে অভিযোগ করেন তাঁদের মতো হলুম না বলে-তাঁদেরকে অনুরোধ, আকাশের পাখিকে, বনের ফুলকে, গানের কবিকে তাঁরা যেন সবার মতো করে না দেখেন। এই বোধ তাঁর নিত্যসঙ্গী। তিনি সবার মতো নন, দিনানুদৈনিকের সামাজিক মাপে তাঁর মাপ হয় না। তিনি অনুপ্রাণিত। বাইরে দুর্বল হলেও ভেতরে সবার চেয়ে সবল, কেননা, তাঁর মধ্য দিয়ে সত্যের মহিমাময় প্রকাশ—সেই সত্যের যার ক্ষয় বা পরাজয় নেই। তিনি যে দায়িত্ব পালন করেছেন তা যৎসামান্য নয়, তদতুলনীয় সম্মান তাঁর অবশ্যই প্রাপ্য।

অন্যদিকে আবার তিনি দুঃখ লাঞ্ছিত, কণ্টকবিক্ষত। গানের যে পাখি আকাশে উড়ে, বনের যে ফুল আপনাতে আপনি বিরোহিত তার দেখা গেল হৃদয় আছে, আছে হৃদয়ভরা সন্তাপ। কিন্তু এখানেও তিনি সাধারণ মানুষ নন। তাঁর দুঃখবোধ অসাধারণ রকম প্রখর। দুঃখকে তিনি জানেন, আর জানেন দুঃখকে জানাতে।

অর্থাৎ একই সঙ্গে তিনি গর্বিত ও দুঃখিত, বিত্তবান ও নির্ধন। এই অহমিকা ও ক্ষোভ এরা একই বস্তুর দুটি প্রকাশ মাত্র। সে বস্তু তাঁর আত্মপ্রেম। নজরুলের গল্প-উপন্যাসে নায়ক একজনই—নজরুল নিজে। এই আত্মমুগ্ধ নায়ক নিজের জগৎ মনের মতো করে তৈরি করে, তারপর সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়—রাজার মতো। সে আছে তাই অন্যেরা আছে। তার সৌরলোকে অন্যেরা গ্রহ-উপগ্রহ। দুঃখ এই নায়কদের ললাটভূষণ; অনেক রচনারও; যেমন, ব্যথার দান, রিক্তের বেদন, বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনি, অতৃপ্ত কামনা, দুর্দিনের যাত্রী, মৃত্যুক্ষুধা। আত্মপ্রেমের কারণেই নায়কেরা দুঃখী, এর কারণেই তারা আঘাতে উদ্যত। তারা কখনো ভুলতে পারে না যে, পৃথিবীটা তাদের জন্য নিষ্ঠুর, এখানে তাঁরা যা পাচ্ছে প্রাপ্যের তুলনায় তা অকিঞ্চিতকর। অনেক সময় দুঃখ যেন হাতের আয়না, নায়ক তাতে দেখতে পায় তার নিজেকে। অথবা বলা চলে অস্তিত্বের নাটকে দুঃখই নাট্যকার, সে যদি চলে যায়, নাটক যাবে পিছু পিছু। আর ওই যে দুঃখের অবিরাম কথন এতে বিলাস যেমন আছে তেমনি রয়েছে অন্যকে সাক্ষী করা, সাক্ষী এই সত্যের যে তারা আছে, দুঃখেরা আছে। প্রকৃত অর্থে নজরুলের নায়কেরা সামাজিক জীব নয়-এমনকি তখনো নয় যখন তারা সমাজের কথা বলে।

এই আত্মপ্রেমিক নায়কেরা পিছনে ফেলে এসেছে প্রিয়জনকে—প্রিয়াকে, মাকে। তারা একাকী বটে, তবু নিঃসঙ্গ নয়, কেননা দুঃখের বোধ ও সুখের স্মৃতি তাদের নিত্যসহচর। তারা ফিরে যেতে চায়; যত সামনে যাবার আবশ্যকতা দেখা দেয় ততই বাসনা জাগে প্রত্যাবর্তনের। তারা প্রত্যাবর্তনেচ্ছু-বিশেষ করে মার কাছে, যে মা আছেন এখন অনেক দূরে, হয়তোবা পরকালে।

নজরুল কথাসাহিত্যে মাকে নিয়ে খুব ব্যস্ততা। ‘ব্যথার দান’-এর শুরুতেই দুজন মায়ের উল্লেখ আছে। নায়কের জন্মধাত্রী মাতা জান্নাতবাসিনী; কিন্তু বেঁচে আছেন অন্য মা দেশমৃত্তিকা। ‘দু-একদিন ভাবি হয়তো মায়ের এই অন্ধ স্নেহটাই আমাকে আমার বড়-মা দেশটাকে চিনতে দেয়নি।’ মাতৃস্নেহটা মস্ত একটা শিকল হয়েছিল, সে শিকল কেটে যাওয়ায় নায়ক এখন মহীয়সী জন্মভূমিকে চিনতে পেরেছে। কিন্তু এই চিনতে পারাটাও একটা বন্ধনই। বন্ধন, সে ছোটই হোক বড়ই হোক, থাকছেই। ‘রিক্তের বেদন’-এর নায়ক দেখছে বাঙালি তরুণেরা চলেছে যুদ্ধে। যুদ্ধে যে যাচ্ছে তার স্থূল উদ্দেশ্যটা অবশ্যই অর্থোপার্জন। কিন্তু নায়ক ভাবছে অন্যকথা : ‘জননী জন্মভূমির মঙ্গলের জন্য সে কোনো অদেখা দেশের আগুনে প্রাণ আহুতি দিতে একি অগাধ অসীম উৎসাহ নিয়ে ছুটেছে তরুণ বাঙালিরা-আমার ভাইয়েরা!’ হয়তো এটা আত্মপ্রবঞ্চনা, কিন্তু এটা না করে উপায় নেই; নইলে নির্মম সত্যটা অহমিকায় এসে ঘা দেয়, ইংরেজের জন্য প্রাণ ত্যাগ করছি এই জ্ঞান আত্মমর্যাদাকে বিনষ্ট করে। তাই নায়ক আদর্শকে টেনে নিয়ে আসে, যুদ্ধের সঙ্গে মাতৃভক্তিকে যুক্ত করে দেয়। পরে সে মাকে বোঝাচ্ছে কেন যাবে যুদ্ধে। ‘আচ্ছা মা! তুমি বিএ পাস করা ছেলের জননী হতে চাও, না বীর-মাতা হতে চাও? নিঝুম ঘুমের আলস্যের দেশে বীর-মাতা হওয়ার মতো সৌভাগ্যবতী জননী কয়জন আছে মা।’ অর্থাৎ কি না সে সাধারণ লোক নয়, যুদ্ধ তাকে বীর করবে, মাকে করবে বীরমাতা। আর, দ্বিতীয়ত, সে যে মায়ের বন্ধন ছিন্ন করছে সেটা নিষ্ঠুরতার সঙ্গে নয়, বুঝিয়ে-সুঝিয়ে, প্রবোধ দিয়ে, মায়ের মনে অহমিকা ও গৌরবাকাক্সক্ষাকে জাগ্রত করে। যুদ্ধক্ষেত্রে যখন গেছে তখনও ভুলতে পারে না পেছনের সেই ছোট বন্ধনকে। ‘আহ আমায় আদেশ দিয়ে আশিস করার সময় মার গলার আওয়াজটা কি রকম আর্দ্র গম্ভীর হয়ে গিয়েছিল।’

মাতৃঋণ শোধ করার ব্যাপারে নজরুল নিজেও সচেতন এবং আগ্রহী ছিলেন। যেমন ‘আমার সুন্দর’ রচনায় বলেছেন, ‘সহসা কোনো করাল ভয়ঙ্কর শক্তি আমায় নিচের দিকে টানতে লাগল। বলতে লাগল, তোমার মাতৃঋণ-তোমার স্বদেশের ঋণ শোধ না করে কোথায় যাবে উন্মাদ-এই বলে পৃথিবীর মাটির মায়া আমাকে মায়ের মতো প্রগাঢ় আলিঙ্গনে বক্ষে ধরলেন, চুম্বন করতে লাগলেন, কাঁদতে লাগলেন।’ কাজটা একপক্ষীয় নয়—যেমন সন্তানের দায় আছে মাতৃঋণ পরিশোধের, তেমনি মায়েরও কর্তব্য আছে স্নেহপরায়ণতার। ওই যে মা প্রগাঢ় আলিঙ্গনে বক্ষে ধরছেন, চুম্বন করছেন, কাঁদছেন ওটি একটি আদর্শায়িত মাতৃমূর্তি। এই আদর্শকে তিনি অহরহ খুঁজেছেন এবং বললে অত্যুক্তি হবে না যে, নিজের মায়ের মধ্যে সে আদর্শ দেখতে না পাওয়ার কারণেই অন্বেষণটা আরো জরুরি, আরো অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। হারানো মায়ের তিনি দেখা পেয়েছিলেন মিসেস এস রহমানের মধ্যে, যাকে তিনি বলেছেন, আমার জগজ্জননী স্বরূপা মা পেয়েছিলেন বিরজাসুন্দরী দেবীর মধ্যে, যাঁকে এক মরু বেদুঈন শিশু শ্রান্ত কণ্ঠে বলেছিল, মা হবে আমার? বোধ করি আপন মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিপালিত অভিমান থেকেই তৈরি হয়েছে ‘মৃত্যুক্ষুধার মেঝ বৌ ও পদ্মগোখরোর জোহরা। মেঝ বৌ যখন গেছে বরিশালে, তখন তার পরিত্যক্ত সন্তান দুটি আঙিনায় খেলা করে; ‘কেমন যেন নির্লিপ্ত ভাব ওদের কথাবার্তায়, চলাফেরায়, চোখেমুখে ফুটে ওঠে। মাতৃহারা বিহগশাবক যেমন অন্য পাখিদের সঙ্গে থেকেও দল ছাড়া ঘুরে ফেরে, কি যেন চায়, কাকে যেন খোঁজে তেমনি।’ ‘সালেক’ গল্পে অশ্রু আর অভিমানের বর্ণনা দিতে গিয়ে নজরুল উপমা দিয়েছেন ‘সৎমা তাড়ানো মাতৃহারা’ মেয়ের। ‘কুহেলিকা’ এক সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবীর কাহিনি, কিন্তু সে কাহিনিতে মা ও মাতৃস্নেহ কোনো অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, রাজনীতির চেয়ে। জাহাঙ্গীরের মা, এক অসামান্যা মা, তহমিনার পাগলিনী মাও সাধারণ মা নয়, সেইসঙ্গে আছেন জয়তী মাসিমা। তুলনায় প্রায় প্রত্যেকটি চরিত্রের জীবনে পিতার ভূমিকা নিতান্ত সামান্য। উপন্যাসের শেষ বাক্য জাহাঙ্গীরের মাকে নিয়েই, ‘মাতা সেখানে পড়িয়া গিয়া কাঁদিয়া উঠিলেন-খোকা আমার? খোকা!’

নজরুলের প্রথম দিককার গল্প-উপন্যাসে অভিমানের প্রকাশ অধিক, দাবি ততোধিক। এই অভিমান পরে কমেছে কিন্তু এর পক্ষে একেবারে অবসিত হওয়া অসম্ভব। আবার পরের রচনায় অভিমান যদি কমেছে তো অহমিকা বেড়েছে। যেমন আনসার চরিত্রে।

আনসার অবশ্য শিল্পী নয়, কিন্তু তবু তার সুযোগ আছে অহমিকার-সে জেলখাটা বিপ্লবী। এই পরিচয়টা যে বিশেষ মর্যাদার লেখক তা ভোলেন না, ভুলতে দেন না। উল্টো বারবার আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন। অন্য নায়কদের নায়কোচিত যোগ্যতার বিশেষ একটা লক্ষণ আনসারের মধ্যেও আছে—সে একাধিক নারীর ভালোবাসা আকর্ষণ করেছে। তার প্রতি লতিফার যে দৃষ্টিভঙ্গি সেটা অতিশয় আপনজনের, তাই লতিফা যখন আনসারের জন্য চা তৈরি করে, তখন চায়ের পানিতে চোখের পানি মেশে। আরেকজনের বিবাহিতা পত্নী সে। অপর প্রেমিকা রুবি বিধবা। সে সামান্যা মেয়ে নয় :

তার বাবা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট, সে চলাফেরা করে প্রকা- মোটর গাড়িতে, তার মুখ হাস্যোজ্জ্বল, সে শ্বেতবসনা। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল রুবি আনসার আগুনে আত্মাহুতি দিচ্ছে, ক্ষয়রোগের রক্তবীজ সে স্বেচ্ছায় নিজ দেহে গ্রহণ করেছে। সামান্য মেয়ে নয় মেঝ বৌও। অন্যরা যখন তাকে ভক্তি করে, তখন তার নিজের ভক্তি আনসারের প্রতি। ‘কত দিন বিনা কাজে লতিফার কাছে গিয়ে বসে থাকত এই লোকটিকে দেখার জন্য-ওর জীবনের অদ্ভুত গল্প সব শোনার জন্য। ও যেন আলেফ লায়লা কাহিনির বাদশাহ জাদা, যেন পুঁথির হরমুজ মনু চেহের’! আর এই যে প্রকৃত লোককে রূপকথার নায়ক বানানো এ নিজেও একটা প্রমাণ, মেঝ বৌর অসামান্যতার। সে অশিক্ষিতা কিন্তু সুবোদ্ধা। নায়ক আনসারের বিশেষ কদর পুলিশের কাছেও। অর্থাৎ একের পর এক প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে এই সত্যের যে, আনসার সাধারণ নয় মানুষ হিসেবে।

কিন্তু সাধারণ মানুষকে সে ভালোবাসে। তার সব আছে কিন্তু সে স্বেচ্ছায় এসে মিলেছে সর্বহারাদের ভিড়ে। তবু সে তাদের একজন হয়ে যায়নি, তাদের মধ্যমণি, তাদের নেতা হয়ে রয়েছে। এই দূরত্বটা লেখক মনে রেখেছেন এবং আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন। সে তখন অতি সামান্য ঘরের ছেলেমেয়েদের অনায়াসে তুলে নিয়ে চুমো খায়-সাধারণ মানুষেরা তখন দেখে বিশ্বাস করতে পারে না; কেননা আনসারকে তো ভুল করা যায় না, যে দেখে সেই জানে যে সে সম্ভ্রান্ত ঘরের শিক্ষিত যুবক। আর এখানেই তার বিশেষ মহত্ব, গরিব না হয়েও সে গরিবের সঙ্গে অনায়াসে মেলে, তবে মেলে যদিও কিন্তু একেবারে মিশে যায় না। তার কাপড়জামায় লক্ষ্মীছাড়া ভাব, কিন্তু লেখক বলতে অবজ্ঞা করেননি যে, এর কারণ তার অভাব নয়, কারণ হলো ‘ইচ্ছাকৃত অবহেলা’। ‘এমন চেহারাকে লোকটা অবহেলা করে পরিত্যক্ত প্রাসাদের মর্মরমূর্তির মতো ম্লান করে ফেলেছে।’ কিন্তু মর্মরমূর্তিই সব সময়ে, প্রাসাদের অবস্থা যা-ই হোক না কেন। দারিদ্র্য তার অভাবের চিহ্ন, মহত্বের চিহ্ন। নজরুল ইসলামের অন্যসব নায়কদের মতো আনসারও সব সময়ই নায়কোচিত। আর তার সব কাজের মধ্যে প্রচ্ছন্ন আছে অসাধারণত্বের অহমিকা। মৃত্যুর আগে সে যখন লোভী হয়ে উঠল তখন ঝুঁকি ছিল যে, সে সাধারণ হয়ে দেখা দেবে; কিন্তু সেটা হলো না রুবির চিঠির দরুন, আমরা জানলাম যে, ওই লোভের মধ্যে নিমগ্ন থেকেও রুবির কাছে সে এক অসামান্য পুরুষ। বোধ করি এই খবরটা আনসারের নিজের কাছেও অজানা ছিল না। এখানে স্মরণ করা যেতে পারে এই কথাই যে, মৃত্যুক্ষুধায় মৃত্যু যদিও আছে সর্বত্র, আছে দারিদ্র্যের মধ্যে, শোক ও অসুখের মধ্যে তবু মৃত্যুর চেয়ে জীবনই সেখানে বড় সত্য। আনসার ও মেঝ বৌ কেউই পরাভূত হয়নি পরিবেশের পীড়ার কাছে, তার বিরূপতা ও রূঢ়তার কাছে। সেই বশ্যতাহীনতাই তাদেরকে প্রিয় করেছে নজরুল ইসলামের কাছে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নজরুল ইসলাম,গদ্য রচনা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist