এম এ জলিল রানা, জয়পুলহাট
কালের সাক্ষী নীরবে দাঁড়িয়ে আছে
দেশের উত্তর জনপদের সীমান্তবর্তী জেলা জয়পুরহাট। এ জেলায় রয়েছে কিছু ঐতিহাসিক নিদর্শন। এসব নিদর্শনের মধ্যে একটি হলো পাঁচবিবির লকমার জমিদার বাড়ি। প্রাচীন স্থাপত্যশিল্পে সৌন্দর্যমণ্ডিত এ নিদর্শনটি যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এখন শুধৃই স্মৃতি। এটি সংস্কার করা হলে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যেমন সম্ভব হবে। অপরদিকে তেমনি সরকারের রাজস্ব আয় হবে অনেক।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পিলারের মাত্র ৫ গজ দুরে পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা রসূলপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কড়িয়া গ্রামে লকমার ঐতিহাসিক এ নিদর্শনটি অবস্থিত। অনেকের ধারণা, প্রায় ৪/৫শ’ বছর আগে কোন এক জমিদার এটি নির্মাণ করেন। প্রায় তিন একর জমির উপর পৃথক দুই ভাগে নির্মিত এ জমিদার বাড়ি। লোহার রড ছাড়াই শুধু ইট, চুন-সুরকী দিয়ে নির্মিত ৩ তলা এ জমিদার বাড়ির এক তলা ইতোমধ্যেই দেবে গেছে মাটির নীচে।
জমিদার বাড়িটিতে রয়েছে ৩০টি কক্ষ। যার ভেতরে রয়েছে আরো ছোট ছোট কুঠরী বা কামরা। হাতিশালা, ঘোড়াশালা, কাচারীবাড়ি সবই ছিল এখানে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আজ শুধু কালের সাক্ষী হয়ে ধ্বংশপ্রায় অবস্থায় নীরবে দাঁড়িয়ে আছে এ জমিদার বাড়িটি।
কিছুদিন আগেও এটি একটি জঙ্গলে পরিণত ছিল। তবে বর্তমানে এলাকার কিছু উদ্যোগী তরুণ এটি পরিস্কার করে অনেকটাই আকর্ষণীয় করে তুলেছেন। প্রত্যন্ত গ্রামে অবস্থিত সীমান্ত ঘেঁষা, নয়নাভিরাম প্রাচীন এ জমিদার বাড়িটি দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের কাছে আরো জনপ্রিয় করে তুলতে সরকারি-বেসরকারি সহায়তার মাধ্যমে এটি সংস্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
পাঁচবিবি শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দুরে এই জমিদার বাড়ির যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভাল টেম্পু আর রিক্সা-ভ্যানে করে সহজেই যাওয়া যায় সেখানে। এলাকাবাসী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা আসেন প্রাচীন এই নিদর্শনটি দেখার জন্য।
পিডিএসও/হেলাল