বাংলা একাডেমিতে পৌষমেলা শুরু
ভরা পৌষে বৃষ্টির সঙ্গে নামছে হাড়কাঁপানো শীত, সেই সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শীতের সঙ্গে রয়েছে পিঠাপুলির যোগ। বাংলার এই ঋতুকে উদযাপনের জন্য রাজধানীতে তাই বসবে ‘পৌষমেলা’। শনিবার থেকে বাংলা একাডেমির মাঠে শুরু হয়েছে তিন দিনের পৌষমেলা।
শনিবার সকালে যন্ত্রসংগীত বাদনের মধ্য দিয়ে বাংলা একাডেমির নজরুল চত্বরে মেলাটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মাটির ‘আইলা’ জ্বালিয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। এসময় সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘প্রার্থী’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন রফিকুল ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আমাদের জীবনকে সহজ করতে গিয়ে সংস্কৃতিগুলোকে যেন হারিয়ে না ফেলি, তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাঙালি জীবনে পৌষমেলার প্রভাব রয়েছে উল্লেখ করে মেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, সংস্কৃতি বাঙালির মেরুদণ্ডের মতো। হাজার বছরের এ ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে আমাদের এর পরিচর্যা করতে হবে।
পৌষমেলা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত মেলা শেষ হবে আগামী সোমবার। সকাল ৮টায় শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে মেলা। রকমারি পিঠাপুলির স্বাদ উপভোগের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্য একাডেমির নজরুল মঞ্চে থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। লোকায়ত জীবননির্ভর সংযাত্রা, যাত্রাপালা এবং নৃত্য-গীত ও কবিতার পরিবেশনায় সজ্জিত থাকবে সে আয়োজন।
শনিবার বিকাল ৩টায় থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এ পর্বের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে গাইবান্ধার চিন্তক পরিবেশিত বেহুলা-লখিন্দর নৃত্যনাট্যের উপস্থাপনা। মেলার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে বিকাল ৩টা থেকে শুরু হবে নৃত্য-গীত ও কবিতায় সাজানো সাংস্কৃতিক আয়োজন। রোববার দ্বিতীয় দিনের বিশেষ আকর্ষণ থাকছে টাঙ্গাইলের মহাদেব ঘোষের দলের সংযাত্রা।
সোমবার সমাপনী দিনের বিশেষ আকর্ষণ হবে বাংলার বাণী অপেরা নিবেদিত যাত্রাপালা ‘আলোমতি প্রেম কুমার’। ৫৪টি স্টলে সাজানো মেলা প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা পিঠাপুলির সঙ্গে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর পিঠার স্বাদও মিলবে এই মেলায়।
পিডিএসও/তাজ