কবি সুকান্তের ৭১তম মৃত্যুবার্ষিকী
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ৭১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৪৭ সালের ১৩ মে কলকাতার যাদবপুরে মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন।
সুকান্তের জীবন মাত্র ২১ বছরের আর লেখালেখি করেন ৬/৭ বছর। সামান্য এই সময়ে নিজেকে মানুষের কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। তার রচনা পরিসরের দিক থেকে স্বল্প অথচ তা ব্যাপ্তির দিক থেকে সুদূরপ্রসারী। একাধারে বিপ্লবী ও স্বাধীনতার আপোসহীন সংগ্রামী কবি সুকান্ত ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় কর্মী। পার্টি ও সংগঠনের কাজ করতে গিয়ে যে ব্যাধিতে পড়েন, শেষাবধি তাই হয়ে ওঠে তার অকাল মৃত্যুর কারণ।
মূলত প্রগতিশীল চেতনার তরুণ কবি। আট-নয় বছর বয়স থেকেই সুকান্ত লিখতে শুরু করেন। মার্কসবাদী চেতনায় আস্থাশীল কবি হিসেবে সুকান্ত কবিতা লিখে বাংলা সাহিত্যে স্বতন্ত্র স্থান করে নেন। সুকান্তকে বলা হয় গণমানুষের কবি। তার রচনার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো—ছাড়পত্র (১৯৪৭), পূর্বাভাস (১৯৫০), মিঠেকড়া (১৯৫১), অভিযান (১৯৫৩), ঘুম নেই (১৯৫৪), হরতাল (১৯৬২), গীতিগুচ্ছ (১৯৬৫) প্রভৃতি।
তার পূর্বপুরুষদের নিবাস গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের উনশিয়া গ্রামে। সুকান্তের জন্ম ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট কলকাতার কালীঘাটে মামা বাড়িতে। জন্মের আগেই তার পূর্বপুরুষেরা গোপালগঞ্জ ছেড়ে ভারতে যান।
পিডিএসও/হেলাল