শিল্পকলায় চলছে চতুর্থ ঢাকা আর্ট সামিট
শিল্প এবং স্থাপত্যকে নতুন আঙ্গিকে মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে শিল্পকলা একাডেমিতে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ঢাকা আর্ট সামিট (ডাস)। যৌথভাবে এই সামিটের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন। দক্ষিণ এশীয় শিল্পকর্মের বৃহত্তম এই আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম চতুর্থবারের মত ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ঢাকা আর্ট সামিটের উদ্বোধন করেন অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জনাব লিয়াকত আলী লাকী।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ডিরেক্টর জেনারেল লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আর্ট সামিটের সাংগঠনিক কমিটির চেয়্যারম্যান ফারুক সোবহান এবং সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর নাদিয়া সামদানী।
এবার প্রথমবারের মতো সামিটে অংশ নিচ্ছে ইরান ও তুরস্ক। সব মিলিয়ে ৩৫ দেশের তিন শতাধিক শিল্পী এ সামিটে নিজেদের কাজ নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। সেইসঙ্গে সম্ভাবনাময় শিল্পকলার উন্নয়নকে সামনে রেখে সামিটে ১২০ জনের বেশি বক্তার অংশগ্রহণে থাকছে ১৬টি প্যানেল আলোচনা ও দুইটি সিম্পোজিয়াম। এবারের আসরে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততাকে নতুন করে তুলে ধরা হবে। এছাড়া এবার দক্ষিণ এশিয়ার প্রদর্শনীর ইতিহাসও তুলে ধরা হবে।
সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক নাদিয়া সামদানি জানান, সামদানি আর্কিটেকচার অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী মাকসুদুল করিমের নকশায় প্রথমবারের মতো থাকছে এডুকেশন প্যাভিলিয়ন।
শিল্প ও স্থাপত্যকে নতুনভাবে দেখার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির জন্য থাকছে আন্তঃবিষয়ক কর্মশালা। এতে অংশ নেবে র্যাকস মিডিয়া কালেকটিভ, সুপারফ্লেক্স, দায়ানিতা সিং এবং আর্ট এডুকেশনের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। মাইক্রোসফট বাংলাদেশ সামিটের শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানগুলো দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
প্রতিবারের মতো এবারও দেওয়া হবে সামদানি আর্ট অ্যাওয়ার্ড।ইতোমধ্যেই ১১ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হয়েছে। শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত দ্বি-বার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর প্রথম দশ আসরের কাজ ও ইতিহাস নিয়ে থাকছে বিশেষ প্রদর্শনী।
আর্ট সামিটের চতুর্থ আসরে বরাবরের মতো সহযোগিতা করছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি এবং জাতীয় জাদুঘর। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই প্রদর্শনী সকলের জন্য উন্মুক্ত। এতে প্রবেশের জন্য কোনো ফি লাগবে না।
পিডিএসও/তাজ