সময় বাড়ল গ্রন্থমেলার
অমর একুশে বইমেলা- ২০১৮’র সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে বেশি সময় কাটাতে পারবেন বইপ্রেমীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান গ্রন্থমেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে বক্তব্য দেন গ্রন্থমেলার সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জনসংযোগ পরিচালক অপরেশ কুমার ব্যানার্জি, গ্রন্থমেলার ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান নিরাপদ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স লিমিটেড চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, স্পন্সর প্রতিষ্ঠান বিকাশ লিমিটেডের সিইউ কামাল কাদের প্রমুখ।
গ্রন্থমেলার সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, ১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ খোলা থাকবে। আগে এটি ছিল বিকেল তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত।
তিনি জানান, তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেলা বেলা ১১টা থেকে রাত নয়টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল আটটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
জালাল আহমেদ আরও জানান, বরাবরের মত এবারো ছুটির দিনে শিশু প্রহর সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর একটা পর্যন্ত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার মেলার পরিসর বিস্তৃত হয়েছে। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেড়েছে। এবার বাংলা একাডেমি ছাড়াও অন্য প্রকাশকদের ২৪টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। মেলায় ইউনিট বেড়েছে প্রায় একশ’।
বাংলা একাডেমির ডিজি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল তিনটায় গ্রন্থমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি মেলা ঘুরে দেখবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৭ প্রদান করা হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর হাতে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ‘আলোকচিত্রে বাংলা একাডেমির ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ: বহুমাত্রিক বিশ্লেষণ’ শীর্ষক গ্রন্থ তুলে দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মেলা চলার মধ্যেই ২২-২৩ ফেব্রুয়ারি হবে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন। স্বাগতিক বাংলাদেশ, ফ্রান্স, স্পেন, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভারতসহ ৮টি দেশের ১৫ জন কবি-লেখক-বুদ্ধিজীবী এতে অংশ নিবেন।
এবারের গ্রন্থমেলা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং একাডেমি সামনের ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ৫ লাখ বর্গফুট জায়গায় হচ্ছে। একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯২টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩৬৩টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৭১৯টি ইউনিট রয়েছে। মেলায় বাংলা একাডেমি এবং অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে।
গ্রন্থমেলায় টিএসসি, দোয়েল চত্বর দিয়ে দুটো মূল প্রবেশপথ, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বাহিরের ৬টি পথ থাকবে।
পিডিএসও/রিহাব