নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলা একাডেমিতে একুশে বইমেলার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
রাজধানীর বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণে একুশে বইমেলার আর মাত্র তিন দিন বাকি । জমে উঠেছে একুশের বইমেলার জন্য প্রস্তুতি। প্রতিবারের মতোই ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকে আয়োজন করা হবে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এই মেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একাংশে শুরু হয়েছে স্টল তৈরির কাজ। এ বছর বই মেলার পরিসর বাড়ছে। অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা সংস্থা ও স্টলের সংখ্যাও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ।
পুরোদমে শুরু হয়েছে স্টল স্থাপনের কাজ। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যেই তাদের স্টলের পজিশনও বুঝে পেয়েছে। এখন চলছে স্টলের কাঠামো দাঁড় করানোর কাজ। কাঠামো দাঁড়ালেই শুরু হবে সাজসজ্জার আয়োজন। স্টল রং করা, ব্যানার ঝোলানো, স্টলে বইয়ের সেলফ বসানো, লাইটিং করার কাজ সম্পন্ন করা হবে মেলা শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে।
বাংলা একাডেমির পরিচালক ও একুশে গ্রন্থমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ জানান, গত বছর মেলায় ইউনিট ছিল ৬৫৯টি। এবার ৪৬০টি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৭০০ ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত বছর পাঁচ লাখ ১৩ হাজার বর্গফুট এলাকায় মেলা বসেছিল। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে পাঁচ লাখ বর্গফুটে। প্রকাশনা সংস্থার সংখ্যা বেড়েছে ৬০টি। এরমধ্যে নতুন প্রকাশনী ৩৪ এবং লিটল ম্যাগ ও অন্যান্য সংস্থার সংখ্যা বেড়েছে ২৬টি। প্যাভিলিয়ন বেড়েছে ১২টি। গতবার প্যাভিলিয়ন ছিল ১৫টি, এবার তা হচ্ছে ২৫টি।
এবার ৮৩টি নতুন প্রকাশনা সংস্থা আবেদন করেছিল। তাদের মধ্যে ৬০টিকে স্টল দেওয়া হয়েছে। গতবার বইমেলা উপলক্ষে ৩৬০টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছিল। এবার কিছু কম বেশি হতে পারে। গত বছর ৬৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছিল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গতবারের চেয়ে বেশি জায়গায় স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। লেখক, কবি, সাহিত্যিক, বিভিন্ন অঙ্গনের সিনিয়র ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিজীবীসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রবেশের জন্য এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে একটি গেট বসানো হবে।
দিব্য প্রকাশনীর ম্যানেজার সোহরাব হাসান বলেন, আমরা এবার বই মেলায় অন্তত ৫০টি নতুন বই রাখব। সঙ্গে পুরনো বইও থাকবে। বরাবরের মতোই আশা রয়েছে, বইয়ের বিক্রি যেন বেশি হয়, সাড়া যেন বেশি পায়। দিব্য প্রকাশনী একটি স্টলেই এবার চারটি ইউনিট পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
সোহরাওয়াদী উদ্যানে পাঞ্জেরি পাবলিকেশনের স্টল স্থাপনের কাজ পেয়েছে আরপিকে মিডিয়া। এটির মালিক ইবরাহিম খলিল বলেন, আমরা পাঞ্জেরি পাবলিকেশনের স্টল স্থাপনের কাজ পেয়েছি। এই স্টলটি তৈরি করতে খরচ হবে সাড়ে সাত লাখ টাকা।
বইমেলার নিরাপত্তা বিষয়ে গ্রন্থমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, এবারের মেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হচ্ছে। নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যাও বাড়বে।
পিডিএসও/তাজ